২০ অক্টোবর, ২০১৭ ২১:৪২

চসিকের গৃহকর নিয়ে দুই পক্ষই অনড়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের গৃহকর নিয়ে দুই পক্ষই অনড়

নতুন ধার্য করা গৃহকর নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং নাগরিক সংগঠনগুলো অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ নিয়ে কোনো পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে আসেনি। তবে নতুন গৃহকরের বিপরীতে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়ছে বলে জানা গেছে।

গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বর্ধিত করে কারও আপত্তি থাকলে রিভিউ বোর্ডে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছিল চসিক। চসিকের এই পরামর্শের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সমাবেশ করে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে গৃহকর নিয়ে বিবাদ-বিতর্ক ও উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, 'আমরা যা প্রকাশ করেছি তা প্রাথমিক মূল্যায়ন। রিভিউ বোর্ডে আপিলের মাধ্যমে ধার্য করা কর অনেক কমে যাবে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ রিভিউ বোর্ডের উপর ভরসা না রেখে এখন থেকেই নানাভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আমি বার বার বলেছি, রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে কর আবার মূল্যায়ন করার জন্য।'    

জানা গেছে, করদাতা সুরক্ষা পরিষদ শুক্রবার বিকেলে আগ্রাবাদ লাকী প্লাজার সামনে বিক্ষোভ সামবেশ করে। সমাবেশে সংগঠনটি টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে আছে- ২১ অক্টোবর শনিবার নগরীর জালালাবাদ ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও, ২২ অক্টোবর রবিবার নিউ মার্কেট চত্বরে বিশাল জনসমাবেশ, ২৫ অক্টোবর সোমবার অলংকার মোড়ে জনসমাবেশ এবং ২৬ অক্টোবর মঙ্গলকার থেকে 'ওয়ার্ড অভিযাত্রা' নামে  ৪১টি ওয়ার্ডে কর্মসূচি পালন।  

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আবসার বলেন, 'আমরা ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এরপর নতুন করে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল থাকব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'

এদিকে, গৃহকর নিয়ে নাগরিক আন্দোলন ক্রমেই বাড়ছে। চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ, চট্টগ্রাম গণঅধিকার ফোরাম, বর্ধিত কর প্রত্যাহার নাগরিক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে। তাছাড়া এক্স কাউন্সিলর ফোরামের সাবেক ২৩ কাউন্সিলরও করপুনর্মূল্যায়নের জন্য চসিক মেয়রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।

এক্স কাউন্সিলর ফোরামের সদস্য সচিব মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, আইনের জন্য জনগণ নয়, জনগণের জন্যই আইন। তাই আমাদের দাবি হলো জনস্বার্থে প্রয়োজনে কর নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বিধিটি সংশোধন করা হোক। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশন একটি সেবা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক নয়। তাই সেবা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইতিবাচক মনোভাবই আমরা আশা করি।   

বিডি প্রতিদিন/২০ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর