২১ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:০৮

'আওয়ামী লীগের টার্গেট নারী ও নতুন ভোটার'

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

'আওয়ামী লীগের টার্গেট নারী ও নতুন ভোটার'

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না। এজন্য নেতারা অফিসে বসে কাউকে সদস্য করতে পারবেন না। ঘরে ঘরে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে সদস্য করতে হবে। এবারের সদস্য সংগ্রহের প্রধান টার্গেট নারী ভোটার। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। আর দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে নতুন ভোটার। যারা এবার প্রথম ভোটার হয়েছে তাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে সদস্য করতে হবে।

শনিবার সকালে সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নীল নকশায় ক্ষমতায় যাবার দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা যত ইস্যু ধরে সব ইস্যুই হাতছাড়া হয়ে যায়। চিফ জাস্টিস ইস্যু নিয়ে এতোদিন খেলা খেললো। এখন আবার নির্বাচন কমিশন নিয়ে খেলছে। লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া নীল নকশা করেছেন। কিন্তু এদেশের মানুষ কোন নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। দেশে আর কখনো ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না।

আগামী সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করা যাবে না। জনগণের কাছে যারা বেশি গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় তারাই মনোনয়ন পাবেন। তবে প্রার্থী যেই হোন না কেন, নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করতে হবে সবাইকে। 

সিলেটে এক মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দু’চারজন সন্ত্রাসীর কারণে পার্টি বদনামী হতে পারেনা। খুনের নেপথ্যে যারা আছেন, তিনি যতোই প্রভাবশালী হোন না কেন তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে খুনের বিষয়ে খোঁজ নিতে এসেছি, খুনী যেই হোক রেহাই নেই। খুনীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’

সিলেটের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রয়োজনে পদ্মাসেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে উন্নিত করা হবে। সিলেটের সকল সড়ক চলতি মাসের মধ্যে চলাচল উপযোগী করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।


বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর