২১ অক্টোবর, ২০১৭ ১৯:৫২

বৃষ্টিতে ফের তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বৃষ্টিতে ফের তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী

ফাইল ছবি

বিকেলের কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ফের পানির নিচে তলিয়ে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। কয়েক ঘন্টার ভারি এ বর্ষণের নগরীর কোন কোন এলাকায় হাটু থেকে গলা পানিতে ডুবে যায়। এতে অফিস ফেরত মানুষকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।

জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ছিল। কিন্তু বিকেল চারটার পর শুরু হয় কয়েক ঘন্টার ভারি বর্ষণ। এ বর্ষণে নগরীর আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, চকবাজার, বাদুরতলা, আরাকান হাউজিং, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, হালিশহর, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে।  

আবহাওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বায়ু চাপের তারতম্য এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা হ্রাস পাবে। চট্টগ্রামসহ নৌ বন্দর সমুহকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে। পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

অভিযোগ রয়েছে, নগরীর খাল নর্দমাগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হয় না। লোক দেখানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না। নগরীর প্রায় খালগুলোতে আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। এইসব খালগুলো ভালো করে খনন করার তেমন উদ্যোগ নেই। বরং কিছু কিছু খাল থেকে আবর্জনা তুলে খালের পাড়ে রাখা হয়। ফলে বৃষ্টি হলে সেই আবর্জনাগুলো ফের খালে গিয়ে পড়ছে।

নগরীতে বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা মো. হাছান বলেন, জলাবদ্ধতা যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি পড়লেই এ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।


বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর