২২ অক্টোবর, ২০১৭ ২১:৪৫

আপিলে বঞ্চিত হলেই দেখা মিলবে মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আপিলে বঞ্চিত হলেই দেখা মিলবে মেয়রের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নতুন ধার্য করা কর রিভিউ বোর্ডে আপিল নিষ্পত্তির পরও যদি কোন নাগরিক পৌরকরের বিষয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট করদাতা সরাসরি মেয়রের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। রবিবার দুপুরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।   

আ জ ম নাছির বলেন, চসিক সরকারের বিধির আওতায় পৌরকর পুনর্মূল্যায়ন কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেছে। এ বিষয়ে সম্মানিত হোল্ডারদের আপত্তি দায়েরের জন্য বিনামূল্যে ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। গঠিত রিভিউ বোর্ড আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। করদাতারা বিনামূল্যে পি ফরম পূরণ করে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। রিভিউ বোর্ড করদাতার মতামত আমলে নিয়ে সহনীয় পর্যায়ে পৌরকর চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবে। কোনো করদাতার উপর অযৌক্তিক পৌরকর চাপিয়ে দেয়ার কোন ইচ্ছাই চসিকের নেই।

মেয়র বলেন, বিগত মেয়রদের সময়ে যে হারে পৌরকর ধার্য ছিল ঠিক একই হারে বর্তমানে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে দুই ভাগ করে অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ড পূর্ণ কনজারভেন্সি বিবেচনায়  ৭ শতাংশ হোল্ডিং, ৭ শতাংশ পরিচ্ছন্ন এবং ৩ শতাংশ আলোকায়ন মিলে ১৭ শতাংশ এর কর নেয়া হয়। তাছাড়া ১৬টি ওয়ার্ড আংশিক কনজারভেন্সি বিবেচনায় ৭ শতাংশ হোল্ডিং, ৪ শতাংশ পরিচ্ছন্ন ও ৩ আলোকায়ন মিলে ১৪ শতাংশ পৌরকর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণ সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে- ২৯ অক্টোবর থেকে আপিলকারীদের রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে শুনানি কার্যক্রম চালু করা, আপিল নিষ্পত্তির জন্য ৮টি রিভিউ বোর্ড গঠন, ওয়ার্ডভিত্তিক ট্রেড লাইসেন্স জরিপ, স্থায়ী কমিটিগুলোর সভা মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করা, নগরের হতদরিদ্র, দরিদ্র, অস্বচ্ছল ও আদিবাসী নাগরিকদের আপিল শুনানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া।

পৌরকর ধার্য সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি বিধি-বিধান ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনমত গঠন করা, পৌরকর সংক্রান্ত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য সম্পর্কে জনমত গঠন, পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোকে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্লকের তালিকা প্রণয়ন, পূর্বে নির্ধারিত প্রতিবর্গফুট ফি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ১৫ শত টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ, আবাসিক স্থাপনার ক্ষেত্রে প্রতিবর্গফুট ৫ শত টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ টাকা নির্ধারণ, সরু রাস্তা ও অলিগলির স্থাপনার ক্ষেত্রে ফি প্রতিবর্গফুট নূন্যতম ৩ শত টাকা নির্ধারণ করা।

বিডি প্রতিদিন/২২ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর