২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:৩৫

র‌্যাব সদস্যদের দরবার শরীফ লুটের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

র‌্যাব সদস্যদের দরবার শরীফ লুটের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত তালসারা দরবার শরীফের টাকার লুটের মামলার প্রধান আসামি র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদারের আবেদনে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে আদালত। 

সোমবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূর এ আলম সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২ নভেম্বর নতুন দিন ঠিক করেছেন। সাক্ষ্য দিতে মামলার বাদী তালসরা দরবারের পীরের গাড়ি চালক মো. ইদ্রিস সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজিরও হয়েছিলেন। তবে প্রধান আসামিঅভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করার কথা জানিয়ে সময় আবেদন করেন। এতে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে নতুন দিন ঠিক করেন বলে জানান মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী সাহাবুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, মামলার আসামি জুলফিকার আলী মজুমদার হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়ে একটি সার্টিফাইড কপি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের দিন আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

জুলফিকার আলী মজুমদারের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদনকারী আইনজীবী হেনা নাজমুন নাহার বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ১৫ অক্টোবর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি আদালত।

জানা যায়, এর আগে মামলা বাতিল চেয়ে ২০১২ সালে জুলফিকারের করা আবেদনটি ২০১৫ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবেক চার র‌্যাব সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামিরা হলেন র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‌্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া। এ মামলার সাত আসামিই জামিনে আছেন।

প্রসঙ্গত, তালসরা দরবারে ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে তল্লাশির নামে ২  কোটি ৭ হাজার টাকা লুট করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পাঁচ মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র‌্যাব সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়। ২০১২ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হন জুলফিকার। তবে ২১ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জুলাই জুলফিকারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর