২২ নভেম্বর, ২০১৭ ১৬:০৮

'বন্দরের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি না দিলে আন্দোলন'

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :

'বন্দরের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি না দিলে আন্দোলন'

চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের কারণে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি না দিলে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পাড়া-মহল্লায় সমাবেশ, থানা-ওয়ার্ডে জনসভা, বন্দর ভবন ঘেরাও এবং হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিতর্কিতভাবে লস্কর পদে কার সুপারিশে কতজনের নিয়োগ হয়েছে তাও জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
‘চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় অধিবাসীদের অধিকার আদায় পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি নূর মোহাম্মদ খান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, দিদারুল হক, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্দরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ২০জন প্রার্থী লস্কর পদে আবেদন করেছিল। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটার প্রার্থীও ছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্য নিয়োগে তার জোরালো ভূমিকা রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেত। তিনি হয়তো আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, বন্দরে নিয়োগ কমিটিতে থাকা কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব খুঁজে বের করা হোক। বন্দর সম্প্রসারণের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়েছে। অন্যদিকে এসব এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি ও একাধিক ফ্ল্যাটের ক্রেতা বন্দরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা। তারা এত টাকা কোথায় পেল তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বন্দরকে একটি মাফিয়া চক্র হাত করে নিয়েছে। কিন্তু বন্দর ১৬ কোটি মানুষের। এককভাবে কাউকে ‍সুবিধা দেওয়া অন্যায়।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর