২৪ নভেম্বর, ২০১৭ ১৬:৪৮

চার লেন বিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক হচ্ছে বরিশালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

চার লেন বিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক হচ্ছে বরিশালে

বরিশাল নগরীতে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন বিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই সার্কুলার রোডে ফুটপাত, ড্রেন, রোড ডিভাইডার, সৌন্দর্য বর্ধনসহ নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর। 

পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষে গত বুধবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, উন্নয়ন সংগঠক, সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর। নগর উন্নয়ন অধিপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ে অধিদপ্তরের সিনিয়র প্লানার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্ব-স্ব এলাকাবাসীর সমন্বিত জোড়ালো ভূমিকা কামনা করা হয়। 

‘ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন অব সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক অ্যান্ড অ্যাডজেসেন্ট ওয়াটারবডিস অ্যাট বরিশাল সিটি’ শীর্ষক ওই সভায় নগর উন্নয়ন অধিদফতরের সিনিয়র প্লানার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু, রেল লাইন আর পায়রা সমুদ্র বন্দর ঘিরে বরিশাল মেগা সিটিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলো পরিকল্পিত হওয়া দরকার। এর অংশ হিসেবে নগরীর প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক চারলেন বিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্লানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী এই নেটওয়ার্ক সড়ক নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল থেকে আমতলা মোড় হয়ে শেবাচিম হাসপাতাল চত্ত্বরের বান্দ রোড হয়ে নদী বন্দর পর্যন্ত যাবে। সেখান থেকে পোর্ট রোড ব্রিজ হয়ে সার্কুলার রোড জেলখানার মোড় (জেলখানা স্থানান্তরিত হলে) পর্যন্ত যাবে। এরপর হাসপাতাল রোড থেকে নতুন বাজার হয়ে মরকখোলার পোল হয়ে কাউনিয়া খাল পাড় হয়ে আবার নথুল্লাবাদ পর্যন্ত গড়ে উঠবে সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক। 

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র প্লানার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত প্লানে সার্কুলার রোডে ফুটপাত, ড্রেন, ডিভাইডার, সৌন্দর্য বর্ধনসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম রয়েছে। জেলখানার দুই পাশেও থাকবে ফুটপাত এবং সৌন্দর্য বর্ধন। তিনি বলেন, মাস্টার প্লানে জেলখানা স্থানান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে। জেলখানা স্থানান্তরিত হলে ওই জায়গা থেকেই সার্কুলার রোড নির্মিত হবে। 

মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক বলেন, নগরীর রাস্তা দখল করে ক্ষমতাবানরা ভবন করছে। খাল ভরাট করে ড্রেন করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সিটি করপোরেশনকে সবার আগে জোড়ালো উদ্যোগ নিতে হবে। 

সভায় সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, বরিশালকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়। 

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল বলেন, সার্কুলার রোডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। 

বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, ড্রেনেজ এবং ডাস্টবিন বরিশাল নগরীর মূল সমস্যা। নতুন পরিকল্পনায় এসব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। 

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান বলেন, সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্লান যখন করা হয়, তখন এর সঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধ যুক্ত করা হয়। পরে সাবেক মেয়রের সময়ে নগরীতে রিং রোড করার পরিকল্পনা হয়েছিল। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর পূর্বের পরিকল্পনার সাথে হাসপাতাল রোড সংযুক্ত করতে চায়। 


বিডি প্রতিদিন/২৪ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর