১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ১২:১৩

রাজধানীতে জমজমাট সবজি মেলা

প্রিন্স বিশ্বাস, শেকৃবি:

রাজধানীতে জমজমাট সবজি মেলা

‘সারা বছর সবজি চাষে, পুষ্টি-স্বাস্থ্য-অর্থ আসে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে চলছে জাতীয় সবজি মেলা ২০১৮। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ সবজি মেলায় আজ দ্বিতীয় দিনে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। মেলায় দেশীয় উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি ও তার পুষ্টিমান সম্পর্কে জানার পাশাপাশি সতেজ ও ক্যামিকেল মুক্ত সবজি ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। 

মেলায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও মিলে প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকছে। 

সরজমিনে সবজি মেলা ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত এ মেলায় এ বছর প্রায় শতাধিক সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও ৮০টি স্টল ও ৪ টি প্যাভিলিয়ন অংশ নিয়েছে যাতে ১০৪ ধরনের সবজির প্রদর্শন ও কিছু কিছু সবজি স্বল্প আঙ্গিকে বিক্রয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। মেলার প্রবেশ মুখেই প্লাইউড দিয়ে তৈরী করা হয়েছে একটি পিরামিড। পিরামিডের গায়ে তাক করে বসানো হয়েছে দেশজ মৌসুমি বিভিন্ন সবজি। 

একটু দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন সবজির পিরামিড। মেলার প্রবেশ মুখেই ডান পাশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্টল। দেশীয় বিভিন্ন শাক-সবজি দিয়ে সজ্জিত এ স্টলের বাইরে টবে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সবজির গাছ। বন্যা কবলিত এলাকায় সবজি চাষের কৌশল প্রদর্শনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে স্টলের বাম পাশে। খাদ্যের পুষ্টিমান সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) তাদের স্টলে নিয়েছে নানা উদ্যোগ। 

একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সার্বক্ষনিক স্টলে আসা দর্শনার্থীদের ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করে পুষ্টি ও দৈনন্দিন খাদ্যাভাস সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে যেসব খাদ্য থাকা প্রয়োজন এ সম্পর্কিত বিভিন্ন লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে বারটানের প্রকল্প পরিচালক ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জ্যোতিলাল বড়ুয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের চারশ' গ্রাম ফলমূল ও শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন। অথচ আমরা খাচ্ছি গড়ে ২৫২ গ্রাম। ফলে এসব উৎস থেকে আসা পুষ্টির অভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে রাতকানা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে’। 

মেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল প্রদর্শন করছে। হাইড্রোফোনিক (মাটি ছাড়া কেবল পানিতে) পদ্ধতিতে ফসল ফলানো ও দেশে প্রথমবারের মত শৈবাল চাষের পদ্ধতি বারি’র স্টলে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছাড়া মেলায় বিভিন্ন স্টলে সতেজ সবজি প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রিও করছে। রয়েছে বিভিন্ন স্টলে মাশরুমের প্রদর্শনী ও মাশরুম দিয়ে তৈরী বিভিন্ন খাদ্যের ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সীড কম্পানীগুলো মেলায় বিভিন্ন সবজির সীড প্রদর্শন ও বিক্রয় করছে। এছাড়া মেলায় প্রদর্শনের পাশাপাশি কৃষির বিভিন্ন উপকরণ, বিভিন্ন সবজির চারা ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। 


বিডি প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর