১৯ মার্চ, ২০১৮ ২০:৫৭
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

বিশেষ ট্রেনেই যাবেন ৬ হাজার নেতা-কর্মী

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

বিশেষ ট্রেনেই যাবেন ৬ হাজার নেতা-কর্মী

প্রতীকী ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া পর্যন্ত রেলওয়ের তিনটি বিশেষ ট্রেন দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ তিনটি বিশেষ ট্রেনেই ২ হাজার ৭’শ সিটের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও প্রায় ৬ হাজারের উপরে নেতা-কর্মী ট্রেনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। 

রেলওয়ে প্রশাসন বরাবরে তিনটি বিশেষ ট্রেন দেয়ার আবেদন করেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যথাযথভাবে রেলের ভাড়া পরিশোধ করেই এ ট্রেন সার্ভিস নেয়া হবে বলে জানান দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ ধরণের জনসভায় সমাগম হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের উপস্থিতিও বেশী হবে। এতে সড়ক পথেও চাপ থাকে। এতে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করেই সড়কের চাপ একটু কমানোর চেষ্টা করি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে লোকজন সহজে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের নিরাপত্তা, কোচের সমন্বয়সহ ট্রেনে চলাচলের জন্য যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শেখ জাফর আহমেদ মুজাহিদ বলেন, ‘জনসভা উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ  থেকে  বিশেষ  ট্রেনের আবেদন করা হয়েছে। রেলওয়েও এ বিষয়ে আন্তরিক।’ প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে রেলওয়ে  মেরামতকৃত কোচগুলো চট্টগ্রাম পটিয়া রুটে বিশেষ ট্রেন হিসাবে চালাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে রেলের যথাযথ নিয়মেই ভাড়া দিয়েই ট্রেন সার্ভিস নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে আরো জানা গেছে, বর্তমানে  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিন দ্বিতীয়  শ্রেণীর প্রায় ৬০টি  কোচ সংকটে থাকে। নিয়মিত ১০  থেকে ১২টি  কোচের সমন্বয়ে বিভিন্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর  ট্রেন পরিচালনার কথা থাকলেও মাত্র ২  থেকে ১০টি  পর্যন্ত  কোচ দিয়ে  ট্রেন চলাচল করে। চট্টগ্রাম  থেকে  দোহাজারী (পথিমধ্যে পটিয়া  স্টেশন) পর্যন্ত মাত্র একটি  ট্রেন প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করে গড়ে ৩  থেকে ৪টি  কোচ দিয়ে।   আওয়ামীলীগের  বেশ কয়েকটি সংগঠন সমাবেশ উপলক্ষ্যে এই রুটে তিনটি (প্রতিটিতে ৪৫টি  কোচ) বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের আবেদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের কারণে বাড়তি যাত্রী চাহিদার বিবেচনায় রেলওয়ে দোহাজারী ও নাজিরহাট রুটে ব্যবহৃত  ৮টি কোচকে সমন্বয় করে একটি  ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করে। সর্বশেষ ১৮ মার্চ পর্যন্ত  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ৫৯টি  কোচ সংকট নিয়ে বিভিন্ন  ট্রেন পরিচালনা করছে। পূর্বাঞ্চলের চাহিদা অনুুযায়ী ২২৬টি  কোচ থাকার কথা থাকলেও আছে ১৬৭টি  কোচ। আরো জানা যায়, গত ১৪ মার্চ  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলীকে পাঠানো এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে ওয়ার্কশপে  মেরামতাধীন  কোচ  থেকে ২০টি  কোচ দ্রæত সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। রেলের পরিবহন বিভাগের  দেয়া ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষ্যে পরিবহন বিভাগে ১৫টি কোচের সমন্বয়ে ২টি বিশেষ ট্রেনের আবেদন জমা পড়েছে। পরিবহন বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত  কোচ না থাকায় ২০টি দ্বিতীয়  শ্রেণীর  কোচ সরবরাহ করতে সিএমই-কে অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ ও ১৩  সেপ্টেম্বর   মেইল/এক্সপ্রেস ও  লোকাল  ট্রেনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড কম্পোজিশন অনুুযায়ী  কোচ সরবরাহে চিঠি দেয় পরিবহন বিভাগ।

বিডিপ্রতিদিন/ ১৯ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর