২৩ মার্চ, ২০১৮ ১৫:২৬

আলিফের জানাজায় মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

আলিফের জানাজায় মানুষের ঢল

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত খুলনার আলিফুজ্জামান আলিফের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা রূপসা উপজেলার বেলফুলিয়া ইসলামীয়া হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে রাজাপুর সালেহিয়া ইউসুফিয়া মাদরাসা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আলিফের জানাজার নামাজে হাজারো মানুষের ঢল নামে। রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী, প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন। বোনের কাঁধে ভর দিয়ে কফিনের পিছু পিছু ছুটে যান শোকাহত মা মনিকা পারভীন। বিলাপ করতে থাকেন-‘আমি যদি সন্তানের মুখ না দেখি তাহলে আল্লাহর সামনে দিদার হলে কি জবাব দেবো।’ 

জানা যায়, দুর্ঘটনায় আলিফের লাশ পুড়ে যাওয়ায় কাউকে লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। তবে জুমার নামাজের পর জিরোপয়েন্ট খানজাহান আলী জামে মসজিদের কাছে রাখা কফিনের সামনে কিছুক্ষণের জন্য নেয়া হয় আলিফের মা ও স্বজনদের। এসময় শোকাবহ হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।

শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টায় খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায় আলিফের মরদেহ। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় দুর্ঘটনায় নিহত মোল্লা আলিফুজ্জামানসহ নজরুল ইসলাম ও পিয়াস রায়ের মরদেহবাহী বিমান শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে বড় ভাই আশিকুর রহমান ও তার স্বজনদের কাছে আলিফের মরদেহ হস্তান্তর করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামাল। সন্ধ্যায় রাজধানীর বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলিফুজ্জামানের জানাজা নামাজ শেষে খুলনার উদ্দেশে মাওয়া ঘাট হয়ে রওনা দেয় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।

খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন আলিফুজ্জামান। খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আলিফুজ্জামান ছিলেন মেঝো। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আসাদুজ্জামান। তিনি নেপালে ভ্রমনের জন্য গেছিলেন। গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি ও ১ চীনা নাগরিক নিহত হন।


বিডি প্রতিদিন/২৩ মার্চ ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর