১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৫:৫৫

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে জনসমক্ষে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে জনসমক্ষে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না

রাজশাহীকে ধূমপান মুক্ত শহর গড়তে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি বলেন, আগামি জুনে রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে যে সকল বাণিজ্য লাইসেন্স দেয়া হবে তাতে শর্ত থাকবে জনসমক্ষে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাই না জনসমক্ষে সিগারেটের প্যাকেট উন্মুক্ত করার উপর বিধিনিষেধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে রাজশাহীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায়োগিক অবস্থা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি বলেন, তামার উৎপাদনকারীদের প্রতি সরকারের নজর থাকতে হবে। তামাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বন্ধ করে দিতে হবে তামাক ব্যবসায়ীদের ঋণ।

বুলবুল বলেন, আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই ধূমপানের সাথে জড়িত হতে না পারে। সে ক্ষেত্রে দোকানদার, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।

এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এর আয়োজনে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ নুরুন্নাহার বেগম সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক ও সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী এবং দৈনিক সানশাইনের সম্পাদক তসিকুল ইসলাম বকুল।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর প্রজেক্ট উপস্থাপন করেন এসিডির প্রকল্প সমন্বয়ক এহসানুল আমিন ইমন। তিনি বলেন, রাজশাহীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ তেমন না হওয়ায় তামাকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে চলেছে, ফলে এখানে নাগরিকদের শ্বাসকষ্ট, হাপানি, যক্ষার প্রাদুর্ভাবও বেশি। নগরীতে জনসমক্ষে তথা জনবহুল এলাকায় ধূমপানের কারণে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে রাজশাহীকে ক্লিন সিটি গড়ার যে কার্যক্রম তা ব্যাহত হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে প্রতিবছর ১ লাখের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যান। এই মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সকল জনবহুল শহরকে তামাকমুক্ত করা জরুরি। এতে করে তামাকসেবীর সংখ্যা কমবে এবং পরোক্ষ ধূমপান থেকে অধূমপায়ীরা রক্ষা পাবে।

ইমান আরও বলেন, ধূমপানের ক্ষতিকর দিক আমরা সবাই জানি কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এর জন্য জনসচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। জনসমক্ষে ধূমপান না করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া কম বয়সীদের কাছে সিগারেট বিক্রি করলে প্রয়োজনে বাণিজ্য লাইসেন্স বাতিল করার পদক্ষেপ নিতে হবে। তামাক উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব স্থানে জায়গায় তামাকের চাষ হয় সেখানকার কৃষকদের অন্য লাভজনক ফসল চাষে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর