১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৬:১৪
রিক্সা মালিক-শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

বরিশালে ধাক্কাধাক্কি-সংঘর্ষ, সহকারী কমিশনারসহ আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে ধাক্কাধাক্কি-সংঘর্ষ, সহকারী কমিশনারসহ আহত ৬

বরিশালে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাটারিচালিত রিক্সা মালিক-শ্রমিকদের সাথে পুলিশের হাতাহাতি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহনাজ পারভীন ও ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেনসহ ছয় পুলিশ আহত হয়েছেন। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রিয় নেতা প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনসহ ৬ জনকে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রদান করে ব্যাটারিচালিত রিক্সার লাইসেন্স প্রদানের দাবি সড়ক অবরোধকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে সড়ক অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে খালি বাসন হাতে নিয়ে মানববন্ধন এবং পরে ভূখা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলকারীরা নগর ভবনের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে। অবরোধের ফলে নগর ভবনের সামনের গুরুত্বপূর্ন তিনটি সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বেশ কিছুক্ষণ তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পরে মিছিলকারীরা অবরোধ তুলে নিয়ে ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলের এক পর্যায়ে তারা ফের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক অবরোধ করে। এতে আবারও যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু অবরোধকারীরা পুলিশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তাদের সাথে হাতাহাতি এবং ধাক্কা-ধাক্কিতে লিপ্ত হয়। এ সময় অবরোধকারীদের হামলায় মেট্রোপলিটনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) শাহনাজ পারভীন, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন, এসআই নজরুল ইসলাম এবং শারমিন ও ইভাসহ  পুলিশের মোট ৬ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আহত সহকারী কমিশনার শাহনাজ পারভীন জানান, অবরোধকারীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করবে সেটা তারা বুঝতে পারেননি। অবরোধ থেকে তুলে দেওয়ার পর তারা ঝঁটিকা মিছিল বের করে। এ সময় তিনি সহ নারী কনস্টেবলরা মিছিলের সামনে ব্যারিকেড সৃস্টি করলে তারা উপ-কমিশনার গোলাম রউফ খানের র‌্যাংঙ্ক ব্যাচ নিয়ে টানাটানিসহ অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রিয় নেতা প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, নাসরিন আক্তার টুম্পা, মিঠুন চক্রবর্তী, নুরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন নামে ৬ জনকে আটক করে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান।

বিডি প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর