২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ১৫:১৭
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি

৫ বছরেও থামেনি স্বজনের আহাজারি

নাজমুল হুদা, সাভার

৫ বছরেও থামেনি স্বজনের আহাজারি

রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রানা প্লাজার স্বজনেরা। মঙ্গলবার সকালে রানা প্লাজার সামনে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আসিয়া বেগম। তার মেয়ে শিলা আক্তার রানা প্লাজার ৩য় তলায় নিউ ওয়েব বটমস কারখানায় কাজ করতেন। মেয়ের মৃতদেহ এখনো পাননি। মঙ্গলবার সকালে ধসে পড়া ভবনের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন। আসিয়ার মতো শাহানা বেগমও তার মেয়ের লাশ খুঁজে পাননি। আজ কুষ্টিয়া থেকে সাভারে এসেছেন তিনি। মেয়ের মৃতদেহের দেখার সুযোগ না হওয়ায় প্রতিবছরের এই দিনটিতে রানা প্লাজা প্রাঙ্গনে চোখের পানি ফেলেন শাহানা।

আসিয়া ও শাহানা বেগমের মতো আরও অনেকেই তাদের পরিবারের প্রিয় মানুষটির এভাবে হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি গত পাঁচ বছরেও। মঙ্গলবার সকালে রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনেরা সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এসময় রানা প্লাজার দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় স্বজনদের। তাদের কান্না আর আর্তনাদে আকাশ ভারি হয়ে উঠে।

এসময় নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনেরা ভবন ধসের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও অভিযুক্ত রানার ফাঁসির দাবি জানান।

এদিকে ভবন ধসের পাঁচ বছর উপলক্ষে সকাল থেকে রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরাও ওই বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এসময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল শেষে রানা প্লাজার সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিভিন্ন শ্রমিক নেতারা বলেন, রানা প্লাজার ঘটনার দোষীদের শাস্তি ও সোহেল রানার ফাঁসির দাবি জানান।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, রানা প্লাজার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি বিচার কাজ। কয়েক দিন আগে রানার মায়ের মাত্র ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে রানার অপরাধের ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা চলছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ এটা মেনে নিবে না। অবিলম্বে ভবন মালিক রানাসহ দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর