বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে কর কর্মকর্তা আবুয়াল মাসুদ মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকরা। অফিসে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মকারী মো. রাজিব, ইকরামুল হোসেন, রোকসাদুজ্জামান হিমেল এবং মিন্টু দাস এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগর ভবন চত্ত্বরে সিসি ক্যামেরার সামনে এই হামলা পর বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মেয়র-কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিসিসি’র কর কর্মকর্তা আবুয়াল মাসুদ মামুন জানান, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মী ইকরামুল হোসেন এবং রোকসাদুজ্জামান হিমেল তার কক্ষে গিয়ে তাদের চাকরিচ্যুতির কারণ জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে নগর ভবন চত্ত্বরে যাওয়া মাত্রই দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ৪ কর্মী নিজেদের বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ পরিচয় দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে তার উপর আকস্মিক হামলা চালায়। তারা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ঘটনার সময় মেয়র আহাসান হাবিব কামাল এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামানও তার অদুরে পেছনে ছিলেন।
এ ঘটনার পরপরই নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের কক্ষে ভীড় দেখা যায়। সেখানে হামলাকারীদের পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নেতা ও নগর পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা, সম্প্রতি ঠিকাদারের হাতে লাঞ্ছিত হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান এবং মোয়াজ্জেম হোসেন।
জরুরি বৈঠকে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দ উল্লাহ সাজু বলেন, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নাম ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে তিনি মেয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ করেন।
জরুরি বৈঠকের প্রথম দিকে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিচুজ্জামান এবং দীপক লাল মৃধা হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিলেও পরে হামলাকারী শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের কেউ নয় বলে দায় এড়ানোর চষ্টিা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন