২৬ মে, ২০১৮ ১৫:০৩

বরিশালে পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের মূল হোতাসহ আটক ১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক ৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের মূল হোতাসহ আটক ১০

সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা বরিশাল সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পীসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোডের আবাসিক হোটেল ইম্পেরিয়ালের ৪০৬ নম্বর কক্ষ তল্লাশী চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

এসময় নগদ দেড়লাখ টাকা, ৩টি আধুনিক ব্লু-টুথ ডিভাইস এবং ৮টি মোবাইল ফোন সেটসহ জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা শহিদুল ইসলাম সোহেল এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী ফাতেমা বেগম, নাজনীন নাহার মনি, এলিনা বেগম রূপা ও অভিভাবক আনোয়ার হোসেন ফকির, আহসান হাবিব হাওলাদার, জহিরউদ্দিন জুয়েল হাওলাদারকে আটক করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

পুলিশের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম সোহেল সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে সহায়তাপূর্বক চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা নেন। বাপ্পী সোহেলকে দালালীর দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাকি সাড়ে ৪ লাখ টানা নিয়ে চলে যায়। 

পরে পুলিশের আরেকটি দল ওই রাতেই নগরীর সাকুলার রোডে ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পীর বাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের মূল হোতা রেজাউল ইসলাম বাপ্পী এবং তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিতে যাওয়া পরীক্ষার্থী জায়েদা খাতুন ও তার স্বামী বাদল বেপারীকে আটক করে পুলিশ। 

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর কোতয়ালী মডেল থানা চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটনর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, তারা নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করার আগেই পুলিশ ওই চক্রের একটি অংশকে আটক করেছে। এই চক্রের নেটওয়ার্ক সারা দেশে বিস্তৃত রয়েছে। পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের একটি অংশের হোতাসহ ১০ জন আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য প্রতারক চক্রগুলো আত্মগোপন করেছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে একই রাতে নগরীর রসুলপুর বস্তিতে ‘ডেলটা’ নামে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অভিযানে শিশু পাঁচারকারী চক্রের ৩ সদস্য মুক্তা, চামেলী ও হারুন ছাড়াও ৫১জন মাদক ব্যবসায়ীকে ৮০০ পিস ইয়াবা ও ৩০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৯টি মামলা দায়েরসহ শিশু পাঁচারকারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। 

সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ খান, উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া ও উপ-কমিশনার খায়রুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 


বিডি প্রতিদিন/২৬ মে ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর