২৩ জুন, ২০১৮ ১৯:৪৮

বারিতে অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু

অনলাইন ডেস্ক

বারিতে অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের 'অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০১৮' আজ শনিবার সকালে বিএআরআই-এর কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত। 

গত অর্থ বছর যে সকল গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য পরিচালক (বীজ উদ্যান) মো. মাহমুদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) কৃষিবিদ অমিতাভ দাস, বিএআরআই এর পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. আমজাদ হোসেন, বিএআরআই এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. পরিতোষ কুমার মালাকার। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএআরআই এর গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন বিএআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. লুৎফর রহমান। 

আবহাওয়া উপযোগী পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান অতিথি। তিনি গবেষণা কার্যক্রম পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। 

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৫৩১ টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৫০৫ টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এযাবৎ ১০৩৬ টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচি গ্রহণ করাই এ কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বিএআরআই-এর অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী অংশ নেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর