১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২০:৪৭

ঝোপ থেকে উদ্ধার সেই নবজাতককে বাঁচানো গেল না

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

ঝোপ থেকে উদ্ধার সেই নবজাতককে বাঁচানো গেল না

কুমিল্লার লাকসামে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক কন্যাশিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। একটানা ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে মারা যায় সে। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে লাকসাম উপজেলার ভাটিয়াভিটা নামক স্থান থেকে ওই নবজাতক কন্যাশিশুকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারের পর হাসপাতালে প্রেরণ করে। উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাকে কসটেপ লাগানো ছিলো। এছাড়া শিশুটির হাতে-পায়ে পিঁপড়া ও পোকামাকড়ের কামড়ের রক্তাক্ত চিহৃ ছিলো। ওইদিন সকালে উদ্ধারের পর স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে শিশুটি উদ্ধারের পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলার ভাটিয়াভিটা গ্রামের মৃত জহিরুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান এবং মেহেদীর স্ত্রী জহুরা আক্তার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে জানান, তাঁরা নবজাতক কন্যাশিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নিতে চান। পরে ওইদিন বিকেলে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মেহেদী-জহুরা দম্পতির কোলে ওই নবজাতকটিকে তুলে দেওয়া হয়। ওই নবজাতক কন্যাশিশুটির নাম রাখেন জান্নাতুল মাওয়া।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নবজাতক কন্যা শিশুটির বাবার দায়িত্বভার গ্রহণ করা মেহেদী হাসান বলেন, আমার স্ত্রীসহ খুশি মনে সব প্রক্রিয়া শেষ করে বাচ্চাটিকে নিজেদের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম। ওকে ভালোভাবে মানুষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে আমাদের মেয়েটা চলে যাবে কখনো ভাবিনি।


বিডি প্রতিদিন/সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর