২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৮:১৫

২০২১ সালের মধ্যে তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে: লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

২০২১ সালের মধ্যে তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে: লিটন

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কসহ যে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ২৮টি পার্কের কাজ শেষ হলে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আর পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

রবিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর নবীনগর এলাকায় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ধীন বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্পের আওতাধীন ১০তলা বিশিষ্ট সিলিকন টাওয়ার, বাউন্ডারি ওয়াল ও সাব স্টেশন এবং ডিপ টিউবয়েল ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টিন নির্মাণ কাজের উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অপ্রচলিত খাতে উন্নয়ন কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ থেকে ১০ বছর আগে আমরা যেটা ভাবতে পারিনি, সে সমস্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সারা বিশ্বর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, তোমরা যেটা করেছ, আমরাও সেটা পারি, আগামীতেও করবো। আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ধনী দেশে রুপান্তরিত হবে।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের আশপাশের এলাকার মানুষদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যাদের প্রযুক্তিগত যোগ্যতা আছে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ হবে।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নয়নের অগ্রাযাতা অব্যহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনা সরকার দরকার; এই কথাটি আমরা সবাই মিলে চারদিকে ছড়িয়ে দিবো, আর আমাদের যার যেখানে আত্মীয় স্বজন আছে, তাদেরসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সবাইকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়, ঢাকার বাইরে যে জনগোষ্ঠী আছে, তাদের উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই উক্তিকে বুকে ধারণ করে ঢাকার বাইরের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু ঢাকা, গাজীপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে না, ঢাকার বাইরে যে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে আগামী তিন বছরে তিন লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে, রাজশাহীতে হবে ১৪ হাজার জনের।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে ৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ১০ কোটি মানুষের কাছে মোবাইল পকেটে পকেটে আছে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে একটা বড় পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধা নির্ভর অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। তারুণ্যের অফুরান শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশে আমরা হার্ডওয়ার, সফ্টওয়ার, সার্ভিস-এই পুরো সেক্টরকে গড়ে তুলতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে চার কোটি মোবাইল ফোন ও ৫ লাখ ল্যাপটপ আমদানি করতে হয়। এই বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যদি আমরা রাজশাহীর বঙ্গবন্ধুসহ ২৮টি হাইটেক পার্কে তৈরি করতে পারি, তাহলে ভেবে দেখুন, কত হাজার কোটি বাংলাদেশর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আগামী ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি সেক্টরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ রহমান ভূঞা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনার আগে ১০ তলা বিশিষ্ট সিলিকন টাওয়ার, বাউন্ডারি ওয়াল ও সাব স্টেশন এবং ডিপ টিউবয়েল ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টিন নির্মাণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অতিথিরা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর