২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২১:৪৩

বরিশালে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বরিশালে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন!

বরিশালে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে তার জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয়ে অন্য এক ব্যক্তিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির করে জমির আমমোক্তারনামা তৈরি এবং ওই জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ উত্তোলন করা হয়। 

প্রতারণার এই অভিযোগ উঠেছে নগরীর চকবাজারের প্রসিদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌসুমী এন্টারপ্রাইজের মালিক ওসমান হারুনের বিরুদ্ধে। 

এই অভিযোগ জানিয়ে মৃতের ছেলে মোশতাক হোসেন বরিশাল বিশেষ আদালতে ওসমান হারুন, ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাব রেজিস্ট্রার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মো. এনায়েত হোসেন অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী মোশতাক হোসেন বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ব্র্যাংক ব্যাংকের বরিশাল শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মামুন শরীফ, নগরীর চকবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌসুমী এন্টারপ্রাইজের মালিক ওসমান হারুন ও তার ভাই মুসা আরিফ এবং সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার আবু বক্কর সিদ্দিক। 

মামলায় মোশতাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, তার বড় ভাই সিরাজুল হকের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিবেশী ওসমান হারুনের সু সম্পর্ক রয়েছে। এই সুবাদে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনের জন্য তার বাবা শামসুল হকের কাছ থেকে ২০১২ সালের ৫ জুলাই আমানতগঞ্জ এলাকার একখন্ড জমির আমমোক্তারনামা নেন ব্যবসায়ী ওসমান হারুন। পরে ওই জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নেন হারুন। ঋণ পরিশোধের আগেই ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট শামসুল হক মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল ঋণ পরিশোধ হলে নিয়মানুযায়ী আমমোক্তারনামা বাতিল হয়ে যায়। কিন্ত ব্যবসায়ী ওসমান হারুন শামসুল হকের মৃত্যুর তথ্য গোপন রেখে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল আবারও ২২ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। এবার আমমোক্তারনামা তৈরীর জন্য জনৈক ব্যক্তিকে শামসুল হক পরিচয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দাঁড় করিয়ে স্বাক্ষর জাল করা হয়। এবার ঋণের টাকা পরিশোধ না হলে ব্যাংক বন্ধকী জমি নিলামে ডাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অখ্যাত সংবাদপত্রে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের জমি ২৫ লাখ টাকায় নিলামে কেনেন ওসমান হারুনের ভাই মুসা আরিফ। 

মোশতাক হোসেন মামলায় অভিযোগ করেন, এসব প্রতারণা তাদের অজ্ঞাতেই হয়েছে। গত ৮ মে আরিফ মুসা নিলাম ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবী করে জমি দখল করতে গেলে তারা প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর