২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৯:০১
কেসিসি’র দায়িত্বভার গ্রহণ

দুর্নীতিবাজ-দখলদারদের প্রতি হুঁশিয়ারি খালেকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দুর্নীতিবাজ-দখলদারদের প্রতি হুঁশিয়ারি খালেকের

'অযোগ্য প্রশাসন গত ৫ বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনকে তিলে তিলে ধ্বংস করেছে। দুর্নীতিবাজ ও দখলদারদের সাথে কোন আঁতাত নেই। প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারদের ‘সিকিউরিটি মানি’ দেওয়ার আগে যাচাইবাছাই করা হবে। আর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেই জলাবদ্ধতা নিরসন কাজ শুরু হবে। '

আজ বিকালে খুলনায় সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। 

তিনি বলেন, সরকার ও দাতা সংস্থার অর্থ বরাদ্দ আনতে যোগ্যতা লাগে। গত মেয়রের আমলে নগরীর দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। অযোগ্য প্রশাসনের কাজে অর্থ বরাদ্দ দিতে দাতাসংস্থা আপত্তি জানিয়েছে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর সিটি মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, হাবিবুন্নাহার তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুকু, জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন। 

সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে খুলনার উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। গত ৫ বছরে খরচ করা এই প্রত্যেকটা টাকার পাই পাই হিসাব খুলনার মানুষের কাছে দিতে হবে। দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজ যদি হয়ে থাকে আর এই টাকার যদি অপচয় হয় তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ঠিকাদার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, নগরবাসীর উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো ৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথমেই ড্রেন ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। যে কোন বাধা উপেক্ষা করেই নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। 

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন।

এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে নগর ভবনে নতুন মেয়রের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে টাঙানো হয় রঙিন ব্যানার, প্যানা-ফেস্টুন। নগর ভবনে তিনটি প্রবেশদ্বার নির্মাণ করা হয়। তোরণ ও আলোক সজ্জিত করা হয় পুরো ভবনটি। 
বিদায়ী মেয়রের অনুষ্ঠান বর্জন : এদিকে নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বিদায়ী মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ও বিএনপিপন্থি কাউন্সিলররা।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, মহানগর বিএনপির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট ডাকাতির নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে। 

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সভায় বিদায়ী মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ বিএনপিপন্থি কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর