নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৭৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাজী এনামুল হক। এতে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলমসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাজমুল ইসলাম (২৮), রাকিব হোসেন (২২), আশিকুর রহমান ফাহিম (১৯), ইব্রাহীম (২৭), মেহেদী হাসান মিলন (৩৫) ও ইয়াসিন আরাফাত বাধন (১৮)।
গ্রেতারকৃতদের কাছ থেকে ১০টি লালা কচটেপ পেঁচানো অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩০ পিস ৩ ফুট লোহার রড, ২৭টি ৪ ফুট বাঁশের লাঠি ও গাড়ি ভাঙ্গার কাচের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে দেখিয়েছে পুলিশ।
মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলম, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান খোকা, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল কবির মামুন, ফতুল­া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার হুমায়ুন, ফতুল­া ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক সেলিম চৌধুরী কমল, ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আবুল হোসেন,ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল হোসেন পায়েল, থানা ছাত্রদল নেতা শাহজাহান ওরফে শারজাহান, কায়েস আহমেদ পল­ব, জাবেদ, শরীফুল ইসলাম মানিক, অ্যাডভোকেট মাহাবুব, কাজী আরিফ, নূর মোহাম্মদ, নিলয়, সোহাগ, সোহেল, মোক্তার হোসেন, আরিফ, গাজী নূরে আলম, বোরহান উদ্দিন ব্যাপারী, ওয়ালি উল্লাহ খোকন, নজরুল, আমিনুল ইসলাম জুয়েল,রফিক, সাগর সিদ্দিকি, গিয়াসউদ্দিন লাভলু, এনামুলসহ অজ্ঞাত ১৪০ জনকে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতা শাহ আলমের নির্দেশে জনসাধারণের সেবা ও অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহের ক্ষতি, জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও আইনশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্থ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দলের জেলার সহ সভাপতি আজাদ বিশ্বাস দেশকে অস্থিতিশীল ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য আসামিদের সমাবেত করেছিলেন।
আরো বলা হয়, ছাত্রদলের জেলার সভাপতি রনির মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, পাওয়ার হাউজ, রেলপথ, টেলযোগাযোগ ব্যবস্থা, যানবাহন, রাষ্ট্রায়ত্ত তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সশস্ত্র অবস্থায় মাহমুদপুর সাধু মাতবর রোডের মাথায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যানবাহনে ভাংচুর চালায়।  
ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।