জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের স্বতন্ত্র বা জোটগতভাবে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশে নেই।
মঙ্গলাবার সকালে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি ইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংগঠনটির নেতা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
তারা আরো দাবি জানিয়েছেন, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাদীদের উত্তরাধীকারী যেন নির্বাচনে কোনোভাবে নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সিইসি এ বিষয়ে বলেছেন-এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশ নেই। পরবর্তীতে বিচেনা করতে হবে। কেননা, অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করার হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয় আছে। সরকারের অন্য আইনের বিষয়ও আছে।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির নেত্রীবৃন্দ তাদের দাবীগুলো জানিয়েছেন। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে আমরা অবহিত করবো। এছাড়া আরপিও সংশোধনের বিষয়টি পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখতে হবে।
ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি তো দল নয়, তারা কি এমন দাবি করতে পারে-এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেকহোল্ডার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন