শিরোনাম
১১ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫৭

বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যা; জড়িতদের খুঁজছে পিবিআই

সাভার প্রতিনিধি

বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যা; জড়িতদের খুঁজছে পিবিআই

সাভারের আশুলিয়ার চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়ে জরিনা খাতুনকে (৪৫) হত্যার ঘটনায় দুদিন হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। প্রথমে মামলাটি সাভার গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হলেও পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকে পিবিআই মাঠে নেমে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছে।  এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজছে পিবিআই।

ঢাকা জেলা সুপার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মোহাম্মদ হাসান বারী নুর বলেন, তদন্ত শুরুর পর অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জরিনার মুঠোফোনে কথোপকথনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পিবিআই। তার বাবার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে । তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ কর হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পিবিআই এর একাধিক টিম। তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে আমরা তদন্ত করছি। 

নিহতের স্বজনের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর যদি যাত্রবাহী বাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা নিজেদেরকে কীভাবে নিরাপদ মনে করবো। এই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। 

জরিনার বাবা আকবর আলী বলেন, মেয়ে মারা যাওয়ার পর মামলার হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছি। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের। 

প্রসঙ্গত, শুক্রবারে আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে অপহরণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায় চালক ও তার সহযোগীরা। পরে আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কের মরাগাঙ্গ এলাকা থেকে পুলিশ মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের নাম জরিনা খাতুন (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জের চৌহালী এলাকার আকবর আলী মণ্ডলের মেয়ে। 

আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক বিজন কুমার দাশ, জরিনা তার বাবাকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাসে করে স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন। এসময় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডতা হয়। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে আকবর আলীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন চালকের লোকজন। আকবর আলী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে টহল পুলিশের একটি দল খুঁজতে খুঁজতে পাশের মরাগাঙ্গ এলাকায় মহাসড়কের পাশে তার মেয়ের মরদেহ দেখতে পায়।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
 
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর