শিরোনাম
১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:৪২

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর:

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন

নানা আয়োজনে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মঙ্গলবার সকালে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, পায়রা উড়িয়ে ও কেক কেটে পালন করা হয়েছে এই কথা সাহিত্যিকের জন্মদিন। 

এদিকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুর হিমু পরিবহনের ২০ জন হিমু গাজীপুর শহর থেকে সাইকেল নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নুহাশপল্লীতে ভাস্কর আসাদ তার নিজের করা বেশ কিছু ভাস্কর্য প্রদর্শন করেন। 

জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরো নুহাশপল্লীতে ২ হাজার ৫০০ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। সকালে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাদের দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতসহ স্বজন এবং ভক্তদের নিয়ে নুহাশপল্লীতে কেক কাটেন। এর আগে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। 

কবর জিয়ারত শেষে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ূন আহমেদ আছে এ গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে। হুমায়ূন আহমেদের আলো গাজীপুর আলোকিত হয়ে আছে। এক অর্থে বাংলাদেশ আলোকিত হয়ে আছে।

শাওন আরো বলেন, নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি সংরক্ষণ করে যাদুঘর স্থাপনের জন্য পরিবারের সদসদের সাথে আলোচনা হয়েছে। হুমায়ুন ভক্তরা যাতে এখানে এসে তার সকল সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে অবহিত হতে পারে, এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন আহমেদ। তার ডাক নাম ছিল কাজল। বাবার রাখা তার প্রথম নাম শামসুর রহমান। পরে তিনিই তার ছেলের নাম বদলে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।


বিডি প্রতিদিন/১৩ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর