২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৩৪

এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৭

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিদর্শনে গিয়ে এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০ জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পক্ষে সার্ভেয়ার শামসুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে আবুল বাসার (৩০), কাশেম আলীর ছেলে বেলাল (৪০), উপজেলার আলাইপুর গ্রামের শহিদুল মল্লিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২২), আজাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম কালু (৪৮), নইমুদ্দিন দুই ছেলে নবাব আলী (৩৭) ও কামরুজ্জামান (৩৫) ও কলিগ্রামের নেকা ভাংড়ির ছেলে সুলতান আলী (৩৫)। 

তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার মূল হোতা প্রধান আসামি নওশাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

এদিকে, এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

রবিবার বাঘা উপজেলা প্রশাসনের সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, এবং বিভিন্নস্তরের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

মামলায় বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছিল ওই এলাকার মোজাহারের ছেলে নওশাদ আলী ও মহসীনের ছেলে আব্দুল বারিসহ তার লোকজন। এ খবর পেয়ে দুই কর্মচারিসহ ঘটনা স্থলে যান সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিএম ইমরুল কায়েস। এরপর বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে বালুদস্যুরা। ঘটনার এক পর্যায় বিকেলে হরিরামপুর বালু মহল পরিদর্শন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ও জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। 

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে এতে সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধারাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

রাজশাহীর বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রেফতার এড়াতে বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দিন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর