২২ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:৩৭

বরিশালে বিদেশি জাতের শাক-সবজি ও ফুল-ফল চাষে দম্পত্তির সাফল্য

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে বিদেশি জাতের শাক-সবজি ও ফুল-ফল চাষে দম্পত্তির সাফল্য

প্রচলিত কৃষির বাইরে বিদেশি জাতের বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল-ফুল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরিশালের কৃষি উদ্যোক্তা এক দম্পত্তি। প্রথম বছরে পরীক্ষামূলক সাফল্যের পর আরও বড় পরিসরে বিদেশি জাতের চাষবাদ করেছেন তারা। ফলনও হয়েছে ভালো। কোন ধরনের বিষ এবং সার মুক্ত এই শাক-সবজির স্থানীয়ভাবে চাহিদাও অনেক। এ কারণে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন বিদেশি জাতের শাক-সবজি এবং ফুল-ফল চাষে। এদিকে লাভজনক এই কৃষিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। 

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে কাউয়ারচর এলাকায় প্রায় ৩০ একর জমির উপর একটি রিসোর্ট করার পরিকল্পনা করেছেন ফজলে রাব্বী অনঘ এবং নূরেন নাহার মারিয়া দম্পত্তি। প্রস্তাবিত রিসোর্ট এলাকায় সফল পরীক্ষার পর বড় পরিসরে বিদেশি জাতের ব্রকলি, লেটুস পাতা, ক্যাপসিক্যাম, চেরি টমোটোসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি এবং ফল-ফুলের চাষ করেছেন তারা। 

অনেকটা পার্কের আদলে নির্মাণাধীন এই রিসোর্টে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরাও মুগ্ধ বিদেশি জাতের শাক-সবজি, ফুল-ফল দেখে। 

রিসোর্টে কৃষিকাজে নিয়োজিত কর্মচারি মো. সেলিম সিকদার জানান, তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি বিষ এবং সার মুক্ত। বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরাই তাদের পছন্দমতো শাক-সবজি কিনে নিয়ে যান। তাদের উৎপাদিত কোনো কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে হয় না বলেও দাবী করেন সেলিম। 

কৃষি প্রকল্পের কর্মকর্তা সাবিদ হোসেন জানান, বাজারে পাওয়া যায় না বিদেশি জাতের এমন শাক-সবজি পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেন তারা। ফলন ভালো হওয়ায় বড় পরিসরে বিদেশি জাতের ফসলের চাষবাদ করে সাফল্য পাচ্ছেন তারা। 

কৃষি প্রকল্পের উদ্যোক্তা নূরেন নাহার মারিয়া নারী উদ্যোক্তা জানালেন, চ্যালেঞ্জ হিসেবেই তারা বিদেশি জাতের কৃষি পণ্য চাষাবাদ করেছেন। এই মাটিতে বিদেশি জাতের শাক-সবজি উৎপাদন সম্ভব সেটা প্রমাণ করেছেন। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই এই জাতের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এটাই তাদের প্রাপ্তি। 

বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ব্রকলি, লেটুসপাতা এবং ক্যাপসিক্যাম বরিশালের মাটিতে চাষের উপযোগী। লাভজনক ফসল হিসেবে অনেকেই বিদেশি জাতের এই শাক-সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কৃষি বিভাগও বিদেশি জাতের এই সম্ভাবনাময় কৃষির জন্য উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। বিদেশী জাতের এই শাক-সবজি অত্যন্ত পুষ্টিকর বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

অনঘ এবং মারিয়া দম্পত্তির কৃষি খামারে বিদেশি জাতের সবজি ছাড়াও রয়েছে খেজুরের রস ও গুড়, দেশীয় জাতের সরিষা, টমোটো, গাঁজর, কলাই শাক, ফুলকপি, সিম, বেগুন, পেপে, কলা, মাল্টা, বিলম্বি,করমচা, থাই লেবু, বিদেশী ব্যানানা আম, জাম্বুরা, কলাসহ বিলুপ্ত প্রায় বাসরলতা ফুল, স্নোবল, চন্দ্র মল্লিকা, ইনকাগাদা, ডালিয়, কসমস, মৌমাছির বাসা এবং খেজুরের রস ও গুড়সহ অনেক কিছু।

বিডি-প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর