২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:৫০

শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন দুই পুলিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন দুই পুলিশ!

রাজশাহীতে এক কলেজ শিক্ষকের কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে দুই পুলিশের চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন নগরীর চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মোমেন ও কনস্টেবল মুর্ত্তুজা। অভিযোগকারী আশরাফুল আলম রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন আশরাফুল আলম। এ সময় শিরোইল এলাকায় আগে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী ও দুই পুলিশ সদস্য তার গতিরোধ করেন। এরপর ওই নারী অভিযোগ তোলেন, তাকে অশ্লীল কথা (বাজে কমেন্ট) কথা বলা হয়েছে। এ সময় শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দেওয়ার নাম করে আশরাফুল আলম তাদেরকে ভদ্রা মোড়ে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটকে রাখেন। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর ঘটনাস্থলে আসেন। পরে দুই পুলিশ সদস্যকে ওসির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কনস্টেবল মুর্ত্তুজা বলেন, ‘আসলে বিষয়টি সেই রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতেই চাচ্ছে না।’ বিষয়টি কি রকম জানতে চাইলে তিনি চুপ হয়ে যান। আর এএসআই মোমেন কথা বলতে রাজি হননি।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তবে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর