২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৩৯

থ্যালাসেমিয়া ওষুধ উৎপাদন করবে জুলফার বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

থ্যালাসেমিয়া ওষুধ উৎপাদন করবে জুলফার বাংলাদেশ

দেশে প্রথমবারের মতো থ্যালাসেমিয়া ওষুধ উৎপাদন করবে জুলফারের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি। তিনি বলেন, আজকের এই আরব আমিরাতের পিছনে বাংলাদেশের জনগণেরও অনেক অবদান রয়েছে। আমি মনে করি জুলফার আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের জন্যও ভালো কিছু করতে পারবে।

জুলফার বাংলাদেশ এর সিইও সেলিম সোলায়মান বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে থাকার অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়রন চিলেটর হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ ডেফেরাসিরক্স চিলোভা উৎপাদন শুরু করেছি।

এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও তাদের অবিভাবক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি এবং জুলফারের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া, এর প্রকোপ, প্রতিকার এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে গত ১১ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জুলফার বাংলাদেশ আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।  

থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এসকল কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা-মা থেকে সন্তান এই রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির জরিপ মতে দেশে শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন-ই বাহক। প্রতি বছর প্রায় সাত হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা/রাসেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর