২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৫৮

বোনের বিয়ের কেনাকাটা করা হলো না রোহানের

অনলাইন ডেস্ক

বোনের বিয়ের কেনাকাটা করা হলো না রোহানের

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার।

ছোট বোনের বিয়ে। তাই আনন্দের সীমা ছিল না বড় ভাই রোহানের। বেশ কয়েক দিন ধরে কেনাকাটায় ব্যস্ত রোহান। ছোট বোন বলে কথা। তার কেনাকাটা যেন আর শেষ হচ্ছিল না। গতকাল বুধবারও কেনাকাটা করতে চার বন্ধুকে নিয়ে বের হয়েছিলেন রোহান। সঙ্গে ছিল আরও কিছু কাজ। সব শেষ করে বাসায় ফিরবেন।

কিন্তু রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। নিমিষেই সব স্তব্ধ হয়ে গেল। আর কোনো দিন ফিরে আসবেন না রাজধানীর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রোহান।

রোহানের সঙ্গে ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র আরাফাত। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করলে লাশ হলেন তিনিও। কাজী আলাউদ্দিন রোড সংলগ্ন মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আরাফাত।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সময় যত যাচ্ছে লাশের সংখ্যাও বাড়ছে তত। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই চলছে লাশের সন্ধান। একের পর এক ব্যাগভর্তি করে লাশ বের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যাগে ভর্তি করে ৬৭ জনের মরদেহ বের করা হয়েছে।

শার্ট ব্যবসায়ী মমিন রোহানের চাচাতো ভাই। তিনি বলেন, তার মরদেহ মর্গে আছে বলে নিশ্চিত হলেও কেউ শনাক্ত করতে পারছি না। অপর একটি মোটরসাইকেলে রোহানের সঙ্গে ছিলেন তার ভাগ্নে লাবিব, রমিজ ও সোহাগ।

লাবিবের মাথার সামান্য অংশ পুড়লেও তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। বৃহস্পতিবার মর্গের সামনে ছিলেন রোহানের বাবা হাসান খান। তবে তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।

তবে রোহানের নানা ইউনুস খান বলেন, রোহানের ছোট বোনের বিয়ে আগামী মার্চে। আর তাই বন্ধুদের নিয়ে সে খুব ব্যস্ততার ভেতর ছিল। বুধবার সে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া ও ডেকোরেশনে কথা বলতে গিয়েছিল। কিছু কেনাকাটার কাজও বাকি ছিল, তখন এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের সময় রাস্তায় যানজটে আটকে থাকায় অনেকে প্রাণে রক্ষা পাননি। আগুনের কবল থেকে পালিয়ে বাঁচার আগেই মৃত্যু তাদের গ্রাস করে নিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর