শিরোনাম
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৮:২১

চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় নেই

অনলাইন ডেস্ক

চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় নেই

প্রিয়জনের খোঁজ না পেয়ে হাসপাতালের মর্গের সামনে দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুণছেন স্বজনরা। তবে কেউ নিশ্চিত হতে পারছেন না তার প্রিয়জনের মরদেহ এখানে আছে কিনা। তবুও যেন সান্ত্বনা খুঁজে বেড়ানো। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ।

সেখানে স্বজন হারানোদের ভিড় বাড়ছেই। তারা নাম দেখে জানতে চেষ্টা করছেন তাদের স্বজনদের কেউ রয়েছে কিনা। এছাড়া লাশ দেখেও সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে মৃতদের অধিকাংশের চেহারাই এমনভাবে পুড়ে গেছে যে কোনও ভাবে তা থেকে বোঝার উপায় নেই, কার লাশ কোনটি। তারপরও যারা চিঞ্চিৎ শনাক্ত করতে পারছেন তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার করা বেশ কিছু লাশ পুড়ে গেছে। চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় নেই। যেসব লাশ পুড়ে গেছে কিন্তু চেহারা দেখে শনাক্ত করা যায় তাদের ময়নাতদন্ত করে আজকেই স্বজনদের দেওয়া হবে। তবে, যাদের লাশ পুড়ে গেছে শনাক্ত করার জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে।

লাশ বহনকারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পুড়ে যাওয়া লাশগুলো এতটাই বীভৎস ও ক্ষতিগ্রস্ত যে, স্বাভাবিকভাবে তাদের চেনা কঠিন।

হাসপাতাল ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, নিহতদের লাশ সনাক্তের জন্য প্রত্যেকটি লাশের জন্য আলাদা আলাদা নাম্বারিং করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে একটি বহুতল ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আহত ও দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর