চকবাজারের চুরিহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন পুড়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার রাতে যে স্থানে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তার পাশেই একটি ফার্মেসি থেকে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যান ব্যবসায়ী নাফিজ। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পায়নি নাফিজের স্বজনরা।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার চকবাজারের যেখানে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল, তার পাশেই একটি ফার্মেসিতে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন নাফিজ। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রিয়জনের খোঁজ না পেয়ে হাসপাতালের মর্গের সামনে দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুণছেন স্বজনরা। তবে কেউ নিশ্চিত হতে পারছেন না তার প্রিয়জনের মরদেহ এখানে আছে কিনা। তবুও যেন সান্ত্বনা খুঁজে বেড়ানো। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল মর্গ এবং জরুরি বিভাগ সংলগ্ন জরুরি মর্গে ছুটাছুটি পর নাফিজের ভাতিজি ফাতেমা বলেন, ‘এখানে-ওখনে সব জায়গায় খুঁজেছি। কেউ আমার চাচার খোঁজ দিতে পারছে না। চাচাকে খুঁজতে আর কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, চকবাজারে বুধবার রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৭০ জন পুড়ে মারা গেছে। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ