রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও কামরাঙ্গীরচর থেকে নারীসহ তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন কদমতলীর মাহি (২০), যাত্রাবাড়ির আয়েশা বেগম (২৪) ও কামরাঙ্গীরচরের টিপু সুলতান (২৫)।
কদমতলীর খানকা শরীফ রোড থেকে মাহিকে ঢামেক মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত রেহানা বলেন, ‘মাহি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। পরিবারের সবার কথাই সে হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেতো। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি করে বারান্দায় গিয়ে ছিটকানি লাগিয়ে বসে থাকে। পরে অনেক ডাকাডাকি করে তার কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখে বারান্দার গ্রিলের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে মাহি। পরে আমরা খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।’
পৃথক আরেক ঘটনায় দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর একটি বাসা থেকে আয়েশা বেগমকে ঢামেক মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের ধরে ঝগড়া হয়। পরে সে নিজরুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়ে। পরে আমরা খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।’
এদিকে, অন্য আরেক ঘটনায় কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাটের একটি বাসা থেকে টিপু সুলতানের নামে এক ব্যক্তির মরদেহ মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার সপ্না বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে টিপু সুলতান। পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ঘরের ভিতরে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমরা খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।’
উপ-পরিদর্শকরা আরও জানান, তিনজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত