রাজশাহী আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আটককৃতরা নিজেদের ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দাবি করলেও পুলিশ বলছে, অধিকাংশ জামায়াত-শিবিরের কর্মী। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে পুলিশের গাড়িতে তারা হামলা চালিয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের নাম পরিচয় জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’কর্মসূচিকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আদালতপাড়ার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকার পরেও দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহীর আদালত চত্বরে আকস্মিকভাবে জড়ো হন কিছু বিক্ষোভকারী। তারা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় এবং পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরে ওই এলাকা থেকে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করে। এ ঘটনার পর আদালত চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। এছাড়া আশেপাশের সড়কে চলাচলের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থাকলেও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা তাতে ঢুকে পড়ে। পুলিশ চুপচাপ থাকলেও হঠাৎ করেই তারা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় ও গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জন নিজেদের ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে শিক্ষার্থী দাবি করেছে। পুলিশ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছে। অন্যরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুপুরে আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সেখান থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে নাম পরিচয় জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ