পূর্ণিমার প্রভাব কেটে গেলেও এখনো বরিশালের কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার মধ্যে রয়েছে। তবে ভাটায় বিপৎসীমার নিচে থাকে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, জোয়ারে পানি বিপৎসীমার মধ্যে থাকলেও ভাটায় কমে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা ২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে বিষখালীর নদীর ঝালকাঠি পয়েন্টের পানির বিপৎসীমা ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কিন্তু প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে। বিষখালী নদীর বেতাগী পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। এ পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার। একই নদীর বরগুনা পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৭৩ সেন্টিমিটার দিয়ে। সুরমা-মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্টের বিপৎসীমা ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার দিয়ে। একই নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টের বিপৎসীমা ২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার।
তেতুলিয়া নদীর ভোলা খেয়াঘাট এলাকার বিপৎসীমা ১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে। বুড়িশ্বর নদীর আমতলী পয়েন্টে বিপৎসীমা ২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার দিয়ে। এ নদীর মির্জাগঞ্জ পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশকি ৮০ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। বলেশ্বর নদীর পিরোজপুর পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত