ভারত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের সাথে তামাশা খেলছে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, দেশের ১১টি জেলার জনগণ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তাদের থাকার জায়গা নেই, তারা খুবই করুণভাবে দিনাতিপাত করছেন। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
সোমবার বরিশাল নগরের চাদমারি এমসি অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর ভারতকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশি দেশ। প্রতিবেশী দেশের সাথে এমন বেআইনি ও অমানবিক আচরণ বন্ধ করুন। তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ উপযুক্ত সময় এর কঠিন জবাব দেবে।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে চরমোনাই পীর বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দেশে জুলুম নির্যাতন ও সম্পদ লুট করেছে। স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলো। দেশের ছাত্র সমাজ, দেশপ্রেমিক ইসলাম প্রিয় জনতা রক্ত দিয়ে-জীবন দিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
দলটি জেলা সভাপতি মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চরমোনাই পীর বলেন, দেশের জনগণ এক কঠিন সময় পার করছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীল কর্মীরা বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসী অসহায় মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যানুযায়ী খেদমত করে যাচ্ছে।
দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় ভাই-বোন ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ, পোষাক ও মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ লোকমান হোসেন জাফরী, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সভাপতি প্রফেসর লোকমান হাকিম, জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক কাফরা, নগর সহ-সভাপতি শেখ সামছুল আলম মিলন, জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এএ