বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর আতংকের মধ্যেও বরিশাল নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রম নেই। তবে সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন বিভাগ বলছে লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে বরিশাল নগরীতে সীমিতভাবে মশক নিধন কার্যক্রম চলছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের কর্মী নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এ্যানেক্স ভবন থেকে নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত ৫ আগস্ট ওই ভবনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও মশক নিধন কার্যক্রমের হ্যান্ড স্প্রে ও ফগার মেশিন লুট হয়। এর মধ্যে ২০টি হ্যান্ড স্প্রে ও ১০টি ফগার মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম চলছে। একেক দিন একটি করে ওয়ার্ডে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মশক নিধন বিভাগের ৫৪ জন কর্মী রয়েছে। জরুরি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য সিংহভাগ ড্রেন পরিষ্কারের কাজ করছে। তাই সকাল ও বিকেল দুই শিফটে ২০ জন করে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্ষা কমলে আরো ব্যাপক পর্যায়ে ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নগরীর বাসিন্দা শামসুল হুদা রিপন বলেন, তার এলাকায় অনেক দিন ধরে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না। কাউন্সিল আত্মগোপনে থাকায় কারো কাছে অভিযোগও দেয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, গত ৫ আগস্টের পর একটু সমস্যা হয়েছিলো। সিটি কর্পোরেশনের ৪৫টি হ্যান্ড স্প্রে ছিলো। এর মধ্যে ২৫টি হ্যান্ড স্প্রে লুট হয়েছে। বর্তমানে ২০টি হ্যান্ড স্প্রে ও ৯টি ফগার মেশিন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কাজ করা হচ্ছে না, সেটা ঠিক নয়। মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ