ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, পুলিশের অপেশাদার আচরণ ও শিথিলতা প্রদর্শনের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। মানুষের সাথে আচরণে বিনয়ী হতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে পোশাকে, উপস্থাপনায়, সেবায় এবং দৃঢ়তায় নিজেদের উচ্চতাকে তুলে ধরার আহ্বান জানান কমিশনার।
শুক্রবার ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ নূরে আলম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল পর্যায়ের সদস্যদের নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে পুলিশের উপর জনগণের পূর্ণ আস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, দুঃসময়ে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা মনে করে পুলিশ তাদের বন্ধু।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে পুলিশকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, এমন কোনো অপেশাদারমূলক আচরণ করা যাবে না যাতে করে দেশে এবং বিদেশে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জীবন দানকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের। এই অভ্যুত্থানে যেসকল পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
মতবিনিময় সভায় ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা ডিএমপি কমিশনারের নিকট পেশ করেন। কমিশনার তা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া তিনি ব্যারাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ফোর্সের খাবারের মান উন্নয়ন ও নিয়মিত খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে ফোর্সের যাবতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত