ভারতে রপ্তানির কারণে বরিশালে বেড়েই চলছে ইলিশ মাছের দাম। এতে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভারতে যে দামে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। তার চেয়ে বরিশালের বাজারে দাম অনেক বেশি। তার পরেও ইলিশ রপ্তানি করা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। তবে রপ্তানিকারকদের দাবি, লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করছেন। ব্যবসায়ীক কৌশলের কারণে তাদের লস হচ্ছে না।
বরিশাল নগরীর ইলিশ মোকাম পোর্ট রোড থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি প্রতিষ্ঠান মাহিমা এন্টারপ্রাইজের বাবর সিকদার বলেন, তারা প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০ ডলার মূল্যে ভারতে রপ্তানি করেন। তবে বরিশালের বাজারে দাম বেশি।
তার দাবি, সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে। তাই লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে ইলিশ মাছ পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন. এখন হয়তো একটু লস হচ্ছে। ব্যবসায় লাভ-লস থাকবে। সামনে যখন মাছের দাম কমবে তখন লাভ হবে।
আড়তদার ইয়ার আলী সিকদার বলেন, বাজার থেকে বেশি দামে কিনে ভারতে কম দামে কেন রপ্তানি করা হচ্ছে বিষয়টি জানেন না। তবে শুনেছেন, সরকার ভতুর্কি দেয়। সেখান থেকে লস কাটানো যায়।
ভারতে সাধারণ দেড় কেজি থেকে ৮০০ ও ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়। পোর্ট রোড বাজার ঘরে দেখা গেছে, ৬শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের (যা এলসি সাইজ হিসেবে পরিচিত) ইলিশ গড়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৯৫০ টাকা ও এর চেয়ে বড় ইলিশ প্রতি কেজি দুই হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু ভারতে রপ্তানির ইলিশ মাছ প্রতি কেজি প্রতি মাত্র ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে। যা বাংলাদেশি টাকায় মাত্র এক হাজার ২০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই বরিশালের বাজারে মাছের সংকট। এর ওপর রপ্তানির খবরে দাম আরও বেড়েছে।
বরিশাল নগরীর বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বলেন, ভারতে কম দামে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। এদিকে বরিশালের বাজারে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। নিম্নবিত্তরা ইলিশ মাছ দাম জিজ্ঞেস করেন না। মধ্যবিত্তরাও এখন শখেও ইলিশ কিনে না।
কমদামে কেন পাঠানো হচ্ছে, এই রহস্য খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে জাকির হোসেন বলেন লস যদি দিতেই, দেশের মানুষের জন্য দিন।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, এটা আমিও জানি না কেন কম দামে রপ্তানি করা হচ্ছে। হয়তো তাদের কোন ব্যবসায়ীক কৌশল রয়েছে। তাদের ব্যবসায়ীক অন্য কোন পণ্য আমদানী-রপ্তানির মাধ্যমে লস পুষিয়ে নিচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ