নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে (৩৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল চট্টগ্রামের চন্দনগাঁও এলাকার একেএম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। সেই সঙ্গে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস খুলনার খালিশপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানার একটি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, আসামি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল এবং ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি ভালোবেসে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেছিলেন। তারা রূপগঞ্জ থানাধীন মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল্লাহ ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় জান্নাতুলের মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করলেন।
আদালতের বারান্দায় কান্না করতে করতে নিহতের মা শারমিন আক্তার বলেন, আমার এই মেয়ে কলেজের পড়াশোনা করতো। আমার এই মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার সেই মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে হত্যা করেছে। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি দ্রুত এই রায় কার্যকর চাই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত