সাভারের কাঠগড়া চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া দুটি পরিত্যাক্ত কার্টনের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত মরদেহটি লাভলী আক্তার (২৮) নামের এক নারীর। তিনি নরসিংদীর জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজার ইসলাম পাড়া এলাকার মো. হাজিবরের মেয়ে। নিহত তার স্বামী ওমর ফারুকের সাথে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চলমান শ্রমিক অসন্তোষকে তরান্বিত করতে পরিকল্পিভাবে ওই নারীকে হত্যা করে লাশটি কার্টনে ভরে কাঠগড়া এলাকায় ফেলে যায়। নিহতের পরিচয় যাতে সনাক্ত করা সম্ভব না হয় সেজন্য তারা মাথা ছাড়া খণ্ডিত মরদেহটি ফেলে গেছে এবং গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চালিয়ে দিয়ে শিল্প এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নিহত ওই নারীর স্বামীর বরাদ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তার স্বামী জানিয়েছে ঘটনার ১ দিন আগেই সে স্বামীর কাছ থেকে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিলো। তবে কে বা কারা তাকে কি কারণে হত্যা করেছে সে বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি নিহতের খণ্ডিত মস্তক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার বিশমাইল-জিরাবো সড়কের কাঠগড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে দুটি কার্টনে তিন টুকরা লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তবে ওই খণ্ডিত মরদেহের মাথা না থাকায় তখন পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল