ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, এ ভূখণ্ডের মানুষ যুগে যুগে বৈষম্যের শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে। বারবার আন্দোলন করে, জীবন দিয়ে মানবতার শত্রুদের পরাজিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেভাবে একাত্তরের স্বাধীনতার পরও দেশের মানুষ হতাশ হয়েছে। তেমনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি একটা মহল চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। দখলদারিত্ব শুরু করেছে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি।
শনিবার বিকেলে বরিশালের মুলাদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে এক মুঠো খাবারের জন্য কাক-কুকুরের সাথে ডাস্টবিনে লড়াই করবে না। যেখানে জেলে-তাঁতী-কুমার-কামার সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে, ঘুষ ও অর্থ লোপাটের কবর রচনা হবে। কিন্তু চোরের মাধ্যমে কখনো চুরি বন্ধ হয় না। একইভাবে দুর্নীতিবাজের মাধ্যমে দুর্নীতি ও ধর্ষকের মাধ্যমে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব না। সুতরাং জনগণকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেসব দলের মধ্যে দুর্নীতিবাজ, চোর ও ধর্ষক আছে, তাদের প্রতিহত করুন। ভালো মানুষের পক্ষে জনমত গড়ে তুলুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুলাদী উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে তিনি আরও বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে অনেকবার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষ এক স্বৈরাচার থেকে আরেক স্বৈরাচারের শোষণে শোষিত হয়েছে। সুতরাং এদেশের মানুষ এখন আর নতুন কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না।
তিনি নতুন চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের হুঁশিয়ার করে বলেন, বিগত ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীরা পালানোর সুযোগ পেয়েছে, নতুন কোনো সন্ত্রাসের জন্ম নিলে তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
মুলাদী থানা শাখার সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, বরিশাল জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা কাওছারুল ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই