লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বরিশালের উজিরপুরে প্রতিবছরের মতো নৌকা বাইচের এবারের প্রতিযোগিতা হয়নি। তবে লক্ষ্মী দশরার মেলা হয়েছে। উপজেলার হারতা বাজারে এ মেলা এবং সন্ধ্যা ও কচা নদীতে নৌকা বাইচ হতো।
হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. হরেন রায় বলেন, উপজেলা হারতা বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে হারতা বাজারে দুই দিনব্যাপী লক্ষ্মী দশরার মেলা ও কচা নদীতে নৌকা বাইচ হয়। এবারের ছিল ১৬৫তম আয়োজন। কিন্তু এ বছর লক্ষ্মীপূজার দিনে বিকেল তিনটায় নৌকা বাইচ হয়নি। তবে লক্ষ্মী দশরার মেলা চলছে।
নৌকা বাইচ না করার বিষয়ে ডা. হরেন রায় বলেন, নৌকা বাইচ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক ও ডিআইজির কাছে আবেদন করেন। এ বছর চেয়ারম্যান এলাকায় নেই। সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। নৌকা বাইচ করার জন্য অন্তত শতাধিক পুলিশ সদস্য প্রয়োজন। এ ছাড়াও বাইচের জন্য ব্যয় বহন করার কোনো নেতাও নেই। এসব কারণে নৌকা বাইচ হয়নি।
তবে বাজারে লক্ষ্মী দশরার মেলা চলছে। সেখানে পুতুল নাচ, কীর্তনপালা হবে। মেলা উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ বাহারি দোকানে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে অংশ নিয়েছে। এই মেলা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। নৌকা বাইচের আয়োজন না থাকায় এবার যেন প্রাণহীন এই মেলা।
নৌকা বাইচ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় করতেন। প্রতিযোগিতায় মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশ নিত ৮/১০টি নৌকা বাইচের দল। এদের মধ্যে একটি মহিলা বাইচ দলও অংশ নিয়ে পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলতো।
মেলায় আসা সুশীল দাস জানালেন, ময়মনসিংহ থেকে দুর্গাপূজার আগেই ছুটে এসেছেন মামাবাড়ি। এসে জানতে পেরেছেন এ বছর নৌকা বাইচ হবে না। তাই মন খারাপ। তবে সন্ধ্যার পর মেলা মাঠে পুতুল নাচ ও কীর্তন পালা রয়েছে। রয়েছে রকমারি মিঠাই-মণ্ডের পসরা। নৌকায় ভাসমান বাহারি পণ্য এই মেলার ভিন্ন আকর্ষণ বলে জানান তিনি।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মেলা কমিটির কেউ যোগাযোগ করেনি। ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ করার উদ্যোগ নিলে আমরা অবশ্যই সবরকম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতাম।
বিডি প্রতিদিন/এমআই