খুলনা সিটি করপোরেশনের মশক নিধনে সদ্য কেনা 'আধুনিক' ৮টি ফগার মেশিন ব্যবহারের আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এই মেশিনগুলো জার্মানির তৈরি দাবি করা হলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ যাচাই কমিটি। এখন নষ্ট মেশিনগুলো যেনতেনভাবে সারাই করে বিল তোলার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি বিভাগ গত ফেব্রুয়ারি মাসে মশক নিধনে জামার্নির তৈরি অত্যাধুনিক ৩৫টি ফগার মেশিন কিনতে দরপত্র আহ্বান করে। ক্রয় কমিটি মানসম্পন্ন মেশিন পাওয়ার নিশ্চয়তায় নিয়ম ভেঙে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা ঢাকার মোল্লা এন্টারপ্রাইজকে মেশিন সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়। এতে প্রতিটি মেশিন প্রায় ২২ হাজার টাকা বেশি দামে কিনে কেসিসির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সম্প্রতি ৩৫টি ফগার মেশিন সরবরাহ করে। এর মধ্যে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করতে গিয়ে আটটি মেশিন নষ্ট পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ১১ আগস্ট ফগার মেশিন যাচাই কমিটির সভায় সরবরাহকৃত মেশিনের মান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। কমিটি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নষ্ট মেশিনগুলো পরিবর্তন এবং তা আদৌ জার্মানির তৈরি কিনা তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম বন্দরের ছাড়পত্রসহ আমদানি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করতে বলেছে। একই সঙ্গে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ আপাতত স্থগিত রাখার সুপারিশ করেছে। কিন্তু এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে কেসিসির কনজারভেন্সি বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা ঠিকাদারকে বিল পরিশোধের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। ফগার মেশিন যাচাই কমিটির সদস্য কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন শেখ বলেন, আটটি ফগার মেশিন নষ্ট পাওয়া গেছে। এগুলো পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।