মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র খুন

বলাৎকার করতে না পেরে রায়হানকে হত্যা করে বাবুর্চী

বলাৎকার করতে না পেরে রায়হানকে হত্যা করে বাবুর্চী

দুই মাস আগে রায়হানের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল বাবুর্চি শাহ আলম। একই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ওৎ পেতে থাকে সে। একই মাদ্রাসার বড় ভাই রনির সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল রায়হান। রাত আড়াইটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে যায় সে। কিন্তু বাদ সাধে বাবুর্চি শাহ আলম। তাকে জোর করে পুনরায় বলাৎকার করতে চায় সে। রায়হান হুমকি দেয়, 'এবার কিছু করলে সবাইকে বলে দেব।' এরপর রায়হানকে জোর করে রান্না ঘরে নিয়ে যায় শাহ আলম। সেখানে বলাৎকারের চেষ্টা করে সে। না পেরে রায়হানকে জবাই করে হত্যা করে শাহ আলম।

আজ বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, সোমবার ঘটনার পরপরই মাদ্রাসার ছয় শিক্ষক, তিন খাদেম ও এক বাবুর্চিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাবুর্চি শাহ আলম স্বীকার করে, রায়হানকে সেই হত্যা করেছে। হত্যার পর শরীরে লেগে থাকা রক্ত কাপড় দিয়ে মুছে রান্নাঘরের পেছনে ফেলে দেয়। নিজেও গায়ে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে সে ঘুমিয়ে পড়ে।

হাবিবুর রহমান বলেন, বাবুর্চি শাহ আলম এই মাদ্রাসায় পাঁচ মাস আগে কাজ করতে আসে। এর আগে সে মিরপুরের একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চীর কাজ করত। সেখানেও সে ছাত্রদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। বাড়িতে স্ত্রী আছেন। তিনি এখন সন্তান সম্ভবা। শাহ আলম মাদ্রাসায় হাফেজি লাইনে পড়াশোনা করেছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর জেলা পরিষদ মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত তাহফিজুল কোরআন নুরানী হাফেজী মাদ্রাসার রান্নাঘর থেকে শিক্ষার্থী রায়হানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
 

বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ১৪/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর