মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সদরঘাট টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারন কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন

সদরঘাট টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারন কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাজাহান খান এম.পি আজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা বন্দরস্থ সদরঘাট টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারন কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান ড. মোঃ শামছুদ্দোহা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ঢাকা নদী বন্দর দেশের বৃহত্তম নৌ-বন্দর। এ বন্দর ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত। এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ হাজার যাত্রী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সমূহে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যবাহী বিপুল সংখ্যক নৌ-যান ঢাকা নদী বন্দরে চলাচল করে থাকে। ঈদ, পুজাসহ অন্যান্য উৎসবের সময় যাত্রী সংখ্যক স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৭/৮ গুন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। বিশেষকরে বৎসরের দুই ঈদের আগে ও পরে প্রতিদিন প্রায় ২/৩ লক্ষ যাত্রী ঢাকা নদী বন্দর দিয়ে আসা যাওয়া করে। বর্তমান টার্মিনাল দিয়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রী আসা-যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে।

তিনি আরো বলেন, এ জন্য টার্মিনাল ভবনে বিদ্যমান সুবিধাদি অপ্রতুল হওয়ার ফলে কর্তৃপক্ষের স্থাপনা যথা-পন্টুন, গ্যাংওয়ে ইত্যাদি সরকারী সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমনকি একই সাথে অগনিত মানুষের চাপে পড়ে পন্টুন ডুবে যাওয়ার ও গ্যাংওয়ে ভেংগে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে অনাকাংখিত দূর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রান হানির আশংকা সৃষ্টি হয়। প্রায় সময় ঈদে ঘরমুখো যাত্রী লঞ্চ না পেয়ে আটকে পড়ে টার্মিনাল ভবনের নীচতলা ও দোতলায় রাত্রি যাপন করে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময়ও যাত্রী সাধারণ টার্মিনালে অপেক্ষমান থাকে। ঐ সময় টার্মিনালে যাত্রীদের অপ্রতুল সুবিধাদির কারণে যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট হয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে অনেক সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান তিনি ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবি­উটিএ) মাননীয় চেয়ারম্যান ড. মোঃ শামছুদ্দোহা খন্দকার বলেন সদরঘাট নদী বন্দরে ১৩টি পন্টুন, ৯টি গ্যাংওয়ে রয়েছে এবং বর্তমানে টার্মিনাল ভবনের সাথে মাত্র ৫টি পন্টুন ও ৪টি গ্যাংওয়ে সংযুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ৫টি গ্যাংওয়ে ও ৮টি পন্টুনের সম্মুখে টার্মিনাল ভবন না থাকায় বর্তমান টার্মিনাল ভবন দিয়ে যাত্রী সাধারন উক্ত পন্টুন ব্যবহার করে থাকে। এতে অত্যাধিক চাপের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিআইডবি­উটিএ কর্তৃক ষাটের দশকের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে অত্র নদী বন্দরে তৎকালীন সময়ের চাহিদানুযায়ী একটি দ্বিতল টার্মিনাল বিল্ডিং নির্মানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত নৌ-বন্দর সুবিধাদি প্রদান করা হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নৌ-পরিবহন সুবিধাদি বর্তমান সরকার , বিআইডবি­উটিএ যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছে। এমতাবস্থায় দৈনিক প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ হাজার যাত্রী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সমূহে যাতায়াত সুবিধা ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য আরো গ্যাংওয়ে, স্পাড, টয়লেট কমপ্লেক্স বিশ্রামাগার ইত্যাদি আধুনিক সুবিধাদিসম্বলিত সদরঘাট টার্মিনাল ভবন সমপ্রসারন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক ঢাকা নদী বন্দর গড়ে তুলবেন তিনি।  

বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ১৪/ সালাহ উদ্দীন
 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর