বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সিলেটে ছাত্র-শ্রমিক সংঘর্ষ, অবরোধ

পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস, লাঠিচার্জ

সিলেট নগরীর উপশহরের শাহজালাল সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পরিবহন শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষকালে ৫টি গাড়ি ও সিটি কলেজ ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষকালে পুলিশ ১৯ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পরে বেশকয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শাহজালাল সিটি কলেজের দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে এক দল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে পাশে স্ট্যান্ডে রাখা কয়েকটি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর করে। এ সময় পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে। শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়। পরে তারা কলেজের সামনের গ্লাস ও ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ওই সময় শ্রমিকরা কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে সোয়া ১২টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমতউল্লাহ কোতোয়ালি ও শাহপরান থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি শ্রমিকদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হয়নি। বেলা ১টার দিকে পুলিশ বেশকয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ৯ শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে শাহজালাল সিটি কলেজ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ ছাত্রকে আটক করে।

শ্রমিক নেতা মাহবুব হোসেন জানান, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন পরপর মারামারিতে লিপ্ত হয়। ক্যাম্পাসে মারামারি করে বের হয়ে এসে আমাদের স্ট্যান্ডের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা তাদের প্রতিরোধ করেছি। শাহজালাল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী জানান, মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা প্রায়ই কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর