অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধে ম্যাজিস্ট্রেটকে রেলওয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা শুগেন্দ্র চন্দ্র নাথের আকুতি-মিনতি নিয়ে তোলপাড় চলছে। গতকাল উচ্ছেদ অভিযানের সময় জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. সাহাদাত হোসেনকে তিনি বলেন, প্লিজ, আমার স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন না। আমার মতো অনেক রেল কর্মকর্তা অবৈধ স্থাপনা ও নিজের বাংলো ভাড়া দিয়েছেন। তাদেরগুলোও উচ্ছেদ করেন।' জানা যায়, উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ২ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. সাহাদাত হোসেন বলেন, রেলের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাসা-বাড়ি উচ্ছেদ না করতে আকুতি-মিনতি করেছেন। তবে কয়েকজনকে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এতে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে চলছে হেরোইন ও গাঁজার আড্ডাও। বসানো হয়েছে অবৈধভাবে গভীর নলকূপ। রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) বেলাল উদ্দিন নিজেই বাংলোর ভেতরে ভাড়া দিয়েছেন। তিনি প্রতি মাসে প্রায় ৩০-২৫ হাজার টাকা পান বলে রফিক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান। তিনি বলেন, জামাল নামের এক কর্মকর্তার অবৈধ গুদাম উচ্ছেদ করেনি। এছাড়া উচ্ছেদ করা হয়নি দুর্নীতির অভিযোগে আটক সাবেক ওয়েল ফেয়ার কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াসহ কয়েকজনের।