শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

আরডিএ মার্কেট নিয়ে লুকোচুরি

টাকা দিয়েও দোকান পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা

রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রের আরডিএ মার্কেট নির্মাণ, সংস্কার ও বরাদ্দ নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা। মার্কেটটিকে নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন মালিক সমিতি ও আরডিএ'র (রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এক প্রকৌশলী। মূল দোকানদাররা আট বছরেও দোকানের বরাদ্দ পাননি। এদিকে দোতলার অনুমতি থাকলেও সেখানে নির্মাণের কাজ চলছে ছয়তলার। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরডিএ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান দোকান বরাদ্দ ও মার্কেট সংস্কারে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'যারা দোকান সংস্কার ও বরাদ্দের দায়িত্বে ছিলেন তারা এই অনিয়ম করেছেন।' আরডিএ সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে সাহেববাজারে (বর্তমানে আরডিএ মার্কেট) ১৩৭ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করার জন্য অনুমতি দেয় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালে মার্কেটের সংস্কার ও বর্ধিতকরণের জন্য ব্যবসায়ী সমিতির কাছে জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ১৩৭টি দোকান ঘর করে তাদের কাছে হস্তান্তরের শর্ত থাকে। কিন্তু দোকানঘর নির্মাণ করা হলেও মূল মালিকরা আট বছরেও সেই দোকান বরাদ্দ পাননি। বঞ্চিত দোকান মালিক নওশাদ আলী জানান, দোকানের কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই মূল মালিকদের বঞ্চিত করে আরেকটি গ্রুপ নিজেদের দখলে নিয়ে ব্যবসা করছে। আরডিএ মার্কেট মালিক সমিতি ও আরডিএ কর্তৃপক্ষের যোগসাজশেই দোকানের দখল নিয়েছে ওই ব্যবসায়ীরা। আরেক ব্যবসায়ী মনিরউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন টাকা দিয়েও দোকান পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৮৭ সাল থেকে আমাদের নামে বরাদ্দ। ২০০৬ সালে সংস্কারের নামে নেওয়া হয়। মালিক সমিতি, ঠিকাদার আর প্রকৌশলী মিলে এখন অন্যদের বরাদ্দ দিয়েছে। বর্তমান দখলকারী রবিউল ইসলাম বলেন, 'ঠিকাদারের কাছ থেকে দোকান বরাদ্দ নিয়েছি।' তবে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। চুক্তি অনুযায়ী ফুটপাতের এই মার্কেটের দ্বিতীয়তলা পর্যন্ত কাজের অনুমতি থাকলেও নিয়ম লঙ্ঘন করে ৬তলা নির্মাণ কাজ চলছে। এ অবস্থায় আরডিএ'র পক্ষ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত চারতলা নির্মাণ করতে নিষেধ করা হলেও তা উপেক্ষা করেই কাজ চলছে।

সর্বশেষ খবর