মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মিনিপুল-ইউনিপুলের দখলে চট্টগ্রাম নগরীর ফুটপাত

বিলবোর্ডে ঢাকা পড়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

ফুটপাত পথচারীদের হলেও চট্টগ্রাম মহানগরে তা আগে থেকেই দখল করে রেখেছে এক হাজারের বেশি মিনিপুল ও ইউনিপুল। এর সঙ্গে এখন যোগ দিয়েছে বিলবোর্ড। নগরজুড়ে বিলবোর্ডের তুঘলকি কাণ্ডে সাধারণ মানুষ কার্যত সীমাহীন দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।

চসিক সূত্রে জানা যায়, সিডিএর উদ্যোগে নগরীতে চলছে সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ। এ কাজের আওতায় আছে কোতোয়ালি-ফিরিঙ্গিবাজার, নিউমার্কেট-সদরঘাট, আন্দরকিল্লা-লালদীঘি মোড়, আন্দরকিল্লা-সিরাজদ্দৌলা, পাঠানটুলী-দেওয়ানহাট, দেওয়ানহাট -ঢাকা ট্রাঙ্ক (ডিটি), সাগরিকা রোড, অলি খাঁ মসজিদ-মুরাদপুর, মুরাদপুর-অক্সিজেন, অক্সিজেন-কুয়াইশ, গনি বেকারি-অলি খাঁ মসজিদ, প্রবর্তক মোড়-২ নম্বর গেট, ২ নম্বর গেট-বায়েজিদ-অক্সিজেন, দেওয়ানহাট-অলঙ্কার মোড়, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়ক। সম্প্রসারিত এসব সড়ক এখনো চসিককে বুঝিয়ে দেয়নি সিডিএ। কিন্তু ইতিমধ্যে অধিকাংশ সড়কেই স্থাপিত হয়েছে বিলবোর্ড খুঁটি, দেওয়া হয়েছে ভাড়ার বিজ্ঞাপন। খুঁটিতে দেওয়া হয়েছে করপোরেশনের অনুমোদন-স্মারক নম্বর। তা ছাড়া নগরীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন রোড, টাইগার পাস মোড় থেকে লালখান বাজার সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য কাটা হয়েছে অসংখ্য বড় বড় বৃক্ষ। সড়কগুলোয় খুঁটি বসিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে বিলবোর্ড। ভুক্তভোগীদের অনেকেই জানান, সড়ক সংস্কার, সম্প্রসারণ ও ডিজাইন করবে চসিকের প্রকৌশল বিভাগ। নকশামতে রোড ডিভাইডার তৈরি করে সংস্থাটি। কিন্তু সড়কের ওপর নিজ উদ্যোগে প্রায় ১৫টি স্থানে রোড ডিভাইডার তৈরি করে ভাড়া দিচ্ছেন বিলবোর্ড মালিকরা। অবৈধ বিলবোর্ডে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। চসিকের প্রণীত নীতিমালার বাইরে এভাবেই বিলবোর্ড স্থাপনে চলছে তুঘলতি কাণ্ড।

এ প্রসঙ্গে সিডিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাশেম বলেন, 'সম্প্রসারণ কাজ চলা সড়কে অনুমতি না নিয়ে অনেকে বিলবোর্ডের খুঁটি স্থাপন করেছেন। এগুলো সরানোর জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে আমরা এ-জাতীয় বিলবোর্ড সরানোর অভিযান শুরু করেছি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানাও করা হচ্ছে।' সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন এ প্রসঙ্গে বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। এ যাত্রায় যে যেখানে অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করেছে সবই উচ্ছেদ করা হবে। এখানে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে মেয়রও অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি কার্যকর পদক্ষেপের পক্ষে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রসারণ করা সড়কগুলো সিডিএ কর্তৃক হস্তান্তর করার আগে বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর