ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাদের অবাধ বিচরণে পরীক্ষার্থীরা হতবাক। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জালিয়াতির ঘটনায় ৫ পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ ও ৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা গেছে, রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার শুরুর পর কেন্দ্রগুলোতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা অবাধে ঢুকছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌফিকুর রহমান হিটলার, ছাত্রলীগ নেতা রানু, আশিকুর রহমান জাপান, সোহাগ, হাফিজকে পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষা শুরুর মিনিট দশেক পরেই বিভিন্ন কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মাধ্যমে এসব ছাত্রলীগ নেতারা প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছেন। পরে প্রশ্নপত্র সমাধান করে তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে উত্তর পাঠাচ্ছেন। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, হেডফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিঙ্ ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও হল পরিদর্শকরা ঠিকমতো পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি না করার কারণে পরীক্ষার্থীরা এসব ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।